পুনর্জন্ম বলে কি কিছু আছে ? যদিবা থাকে বুঝব কি করে ? জানা যাবে কি করে যে এইটেই দ্বিতীয় জন্ম ? - এই রকম সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে টেবিলে মাথা রেখে চুপ করে বসে ছিল অমলকিশোর।
মাথার অপর সিলিং ফ্যানের ঘোরার আওয়াজ ছাড়া গোটা ঘর নিস্তব্ধ বলা চলে। ফ্যানটাও যেন সারাদিন চলে চলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ঘুরছে বটে কিন্তু হাওয়া সেরম লাগছে না, আর লাগলেও তাতে গরম যাচ্ছে না। আজ অবশ্য গরম ছিল বেশ, বেলা থেকেই আকাশটা মেঘলা ছিল, কিন্তু বৃষ্টি আসেনি, একটু দমকা হাওয়া ছেড়েছিল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কিন্তু তাও সেই ক্ষণিকের জন্যই। ফলে কি রকম একটা গুমোট ভাব আছে এখনো।
অমলকিশোরের পুরো ব্যপারটাই এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। সে ভেবে দেখেছে যতক্ষণ মানুষের কোনো বড় সমস্যা থেকে তখন ছোট গুলো খুব একটা ম্যাটার করে না। যেমন যাদের পেটে খিদে - ওই ফুটপাত বাসী মানুষগুলো, তাদের কাছে দৈনন্দিন জীবনের পথ চলতি সমস্যা গুলো যেন সমস্যা নয়। এক তুড়ি মেরে সব উড়িয়ে দেয় যেন। কাল যদি তাদের অন্ন সমস্যা মিটে যায় তখন অন্য আরো সমস্যা শুরু হবে। সমস্যাও কি রকম আকাঙ্ক্ষার মতো, আকাঙ্ক্ষা যে রকম পূরণ হতে চায় না সমস্যাও সেরম ফুরোতে চায় না। তবে অমলকিশোর সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা না করে বিকল্প রাস্তা খুঁজে ফেরে সব সময়। তাই এখন ভাবছে যদি আবার সব নতুন করে শুরু করা যেত। অন্তত এই সমস্যা গুলোতো থাকতো না। আসলে প্রতিবার সমস্যা থেকে পালানোর সময় সে এটাই ভাবে, কিন্তু দেখে ঘুরে ফিরে সে একই জায়গায় এসে পড়েছে। ছোট বেলায় শোনা রূপকথার গল্পে সেই ভূতের জঙ্গলের মতো জীবনটা। মাইলের পর মাইলের গিয়েও আবার একই জায়গায় এসে উপস্থিত হয় সে। তবে রূপকথার গল্পের শেষে সেই ভূত থেকে মুক্তি ছিল, ছিল জাদু কাঠির ছোঁয়া। সেই রকমই জাদু কাঠির অপেক্ষায় সে বসে আছে। সে জানে এসব কল্পনা করা অবান্তর, তবুও ভাবতে ভালো লাগে।
গরমকাল চারদিক নিস্তব্ধ, দূর থেকে একটা গানের সুর ভেসে আসছে। কি গান সে মনে করতে পারছে না কিন্তু সুরটা বড্ড চেনা লাগছে। গানের সুরটা অমলকিশোর গুনগুন করে যাচ্ছিল মনে মনে। তার মনে পড়ে গেল ছোট বেলার কথা, কত মজাই না হয়েছিল। ব্রতীন, পুস্পেন, সলিল এরা কোথায় আছে এখন। বিদ্যুৎটার সাথে গত বছর পুজোয় দেখা হয়েছিল মহম্মদ আলি পার্কে। কত না দুষ্টুমি করেছে এককালে, পূর্ণেন্দু বাবুর সাইকেলের চাকার হাওয়া খুলে আর সিটে আঠা লাগিয়ে দিয়েছিল পুস্পেন। সলিলের নতুন জামায় কাটাকুটু খেলেছিল ব্রতীন আর অশোক। সে কি হুলুস্থুলু কান্ড, আজকাল অবশ্য এসব মনে পড়লে হাসি পায়। কি পাগলামি না করেছে এককালে, ইচ্ছে করে আবার সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে। কিন্তু হবে কি করে? এতো ওয়ান ওয়ে রাস্তা, অন্তহীনের পথে যাত্রা করেছে, শেষ হয়েছে মৃত্যুতে। নাকি তাতেও শেষ হয় না? এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আরও একটা ঘন্টা কেটে গেল। দুচোখে ঘুম নেই, মাঝে মাঝে মনে হয় ঈশ কেউ যদি ঘুম পাড়াত, পরম ভালবাসায় মায়ের মতো করে। মাঝে মাঝে এই একাকিত্বটা কে বেশ অসহ্য লাগে। মনে করে সে একদিকে আর জগতটা অন্য দিকে। তবুও এতো মানসিক কষ্টের মধ্যে ভেসে আশা গানটা মনটাকে ভরিয়ে দিচ্ছিল, যেমন করে বৈশাখ মাসে বৃষ্টির আগে বিদ্যুৎ ঝলকে উঠে ভরিয়ে দেয় গোটা আকাশটাকে, ঠিক তেমন করে। কিন্তু বৃষ্টি নামতে দিল না সে, তার আগে নিজেকে সংযত করে নিলে। খুব কান্না পেল, মনে হল একছুটে চলে যায়, যে দিকে দু চোখ যায়, কিন্তু ঐ- বিধি বাম। যাক গে এতো সব ভাবতে ভাবতে অমলকিশোর টেবিল থেকে উঠে বিছানায় গেল, লাইট নিভিয়ে ঘুমোবার চেষ্টা করবে বলে। কিন্তু ঘুম এল না, বদলে চোখের কোনায় জল এল। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল, সত্যি তো কর্ম না করে সে ফলের আশা করে কি করে। মাঝে মাঝে মনে হয় তার সে কিসে বিশ্বাস করে- কর্মে না ভাগ্যে ? তবে যাতেই করুক না কেন দুটোর জন্যই টিকে থাকতে হবে। লড়াই তো করতেই হবে।
বাইরে বৃষ্টি নামল হঠাৎ। বৃষ্টির ছাট জানলা দিয়ে আসছিল বটে, কিন্তু অমলকিশোর জানলা বন্ধ করল না। কি রকম একটা উদাস লাগছিল তার। আর কিচ্ছু ভাবতে ভাল লাগছিল না তার। আসলে হঠাৎ হঠাৎ করে এই রকম হয় তার, কোনো ঠিক থাকে না। যখন মন ভারী হয়ে উঠে তখনই এই সব ভাবনা এসে ভীড় করে আরে, আর কান্নারা পাড়ি জমায় তাদের সাথে।
অমলকিশোর কাঁদছে......
অনেকক্ষণ যাওয়ার পর কান্নার স্রোত কিছুটা কমলে, আবার ভাবতে চেষ্টা করলো সে। এখন অনেকটা ভাল লাগছে। তার সাথে বাইরে থেকে জানলা দিয়ে হাওয়াও আসছে, আগের মতো আর গরম লাগছে না। বৃষ্টির তেজটাও কমেছে। অমলকিশোরের মনে হল, ধুর কি হবে ভেবে। যা হবার হবে, খুব বেশি হলে সে কিছু হারাবে, নিঃস্ব হয়ে তো আর যাবে না। আর যদি হয়েও যায়, তখন ওই গরিব মানুষগুলোর মতো হয়ে যাবে, পেটের জ্বালায় তখন তো এই সমস্যা গুলো আর থাকবে না। ধুর ধুর যা হবে হবে।
হঠাৎ মোবাইলটা টং করে বেজে উঠলো। কোনো মেইল এসেছে বা অন্য কোনো নোটীফিকেশন ঢুকলো বোধহয়। খুব একটা ইচ্ছে না থাকেলেও সে সেটা হাতে নিল, অবশ্য অন্য কেউ হলে নিত না। কারণ মোবাইল গুলো একেকটা প্যান্ডোরার বাক্স। খুললেই সমস্যা শুরু। তবুও অমলকান্তি খুলল। কি একটা ফালতু মেইল, ওই you have an offer গোছের। কিন্তু তারপরেরটা ...... মেইলটা দেখে লাফিয়ে ওঠে আর কি সে। আরে এতো সেই 'লেখনী' তে যে কবিতাটা পাঠিয়ে ছিল, সেটা গৃহীত হয়েছে বলে লেখা আছে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট খুশি গুলো তার অনেক বড় কিছু সমস্যাকে হার মানায়। এক মুহূর্তে তার মনে হল এ জগতে সেই সবচাইতে খুশি মানুষ এখন। মোবাইলটা পাশে রেখে আনন্দে চোখ বুঝল সে। আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করবে সে, কাল সকালে উঠে নতুন করে শুরু করবে জীবন। জীবন যে রকম সে রকম সে ভাবছে কেন, যে রকম হতে পারে সেটা ভাবা উচিত।
চোখ খুললো আর একবার, ঘুমোবার আগে একবার দেখে নিতে চাইল চারপাশটা। দেখল বৃষ্টি থেমে গেছে। সেই গুমোট ভাবটা আর নেই। আর হ্যাঁ, মেঘ সরে গেছে, আকাশ জুড়ে তারা ভরে আছে।
ঋণস্বীকার - মাল্যবান , জীবনানন্দ দাশ
মাথার অপর সিলিং ফ্যানের ঘোরার আওয়াজ ছাড়া গোটা ঘর নিস্তব্ধ বলা চলে। ফ্যানটাও যেন সারাদিন চলে চলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ঘুরছে বটে কিন্তু হাওয়া সেরম লাগছে না, আর লাগলেও তাতে গরম যাচ্ছে না। আজ অবশ্য গরম ছিল বেশ, বেলা থেকেই আকাশটা মেঘলা ছিল, কিন্তু বৃষ্টি আসেনি, একটু দমকা হাওয়া ছেড়েছিল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ কিন্তু তাও সেই ক্ষণিকের জন্যই। ফলে কি রকম একটা গুমোট ভাব আছে এখনো।
অমলকিশোরের পুরো ব্যপারটাই এখন গা সওয়া হয়ে গেছে। সে ভেবে দেখেছে যতক্ষণ মানুষের কোনো বড় সমস্যা থেকে তখন ছোট গুলো খুব একটা ম্যাটার করে না। যেমন যাদের পেটে খিদে - ওই ফুটপাত বাসী মানুষগুলো, তাদের কাছে দৈনন্দিন জীবনের পথ চলতি সমস্যা গুলো যেন সমস্যা নয়। এক তুড়ি মেরে সব উড়িয়ে দেয় যেন। কাল যদি তাদের অন্ন সমস্যা মিটে যায় তখন অন্য আরো সমস্যা শুরু হবে। সমস্যাও কি রকম আকাঙ্ক্ষার মতো, আকাঙ্ক্ষা যে রকম পূরণ হতে চায় না সমস্যাও সেরম ফুরোতে চায় না। তবে অমলকিশোর সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা না করে বিকল্প রাস্তা খুঁজে ফেরে সব সময়। তাই এখন ভাবছে যদি আবার সব নতুন করে শুরু করা যেত। অন্তত এই সমস্যা গুলোতো থাকতো না। আসলে প্রতিবার সমস্যা থেকে পালানোর সময় সে এটাই ভাবে, কিন্তু দেখে ঘুরে ফিরে সে একই জায়গায় এসে পড়েছে। ছোট বেলায় শোনা রূপকথার গল্পে সেই ভূতের জঙ্গলের মতো জীবনটা। মাইলের পর মাইলের গিয়েও আবার একই জায়গায় এসে উপস্থিত হয় সে। তবে রূপকথার গল্পের শেষে সেই ভূত থেকে মুক্তি ছিল, ছিল জাদু কাঠির ছোঁয়া। সেই রকমই জাদু কাঠির অপেক্ষায় সে বসে আছে। সে জানে এসব কল্পনা করা অবান্তর, তবুও ভাবতে ভালো লাগে।
গরমকাল চারদিক নিস্তব্ধ, দূর থেকে একটা গানের সুর ভেসে আসছে। কি গান সে মনে করতে পারছে না কিন্তু সুরটা বড্ড চেনা লাগছে। গানের সুরটা অমলকিশোর গুনগুন করে যাচ্ছিল মনে মনে। তার মনে পড়ে গেল ছোট বেলার কথা, কত মজাই না হয়েছিল। ব্রতীন, পুস্পেন, সলিল এরা কোথায় আছে এখন। বিদ্যুৎটার সাথে গত বছর পুজোয় দেখা হয়েছিল মহম্মদ আলি পার্কে। কত না দুষ্টুমি করেছে এককালে, পূর্ণেন্দু বাবুর সাইকেলের চাকার হাওয়া খুলে আর সিটে আঠা লাগিয়ে দিয়েছিল পুস্পেন। সলিলের নতুন জামায় কাটাকুটু খেলেছিল ব্রতীন আর অশোক। সে কি হুলুস্থুলু কান্ড, আজকাল অবশ্য এসব মনে পড়লে হাসি পায়। কি পাগলামি না করেছে এককালে, ইচ্ছে করে আবার সেই দিন গুলোতে ফিরে যেতে। কিন্তু হবে কি করে? এতো ওয়ান ওয়ে রাস্তা, অন্তহীনের পথে যাত্রা করেছে, শেষ হয়েছে মৃত্যুতে। নাকি তাতেও শেষ হয় না? এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে আরও একটা ঘন্টা কেটে গেল। দুচোখে ঘুম নেই, মাঝে মাঝে মনে হয় ঈশ কেউ যদি ঘুম পাড়াত, পরম ভালবাসায় মায়ের মতো করে। মাঝে মাঝে এই একাকিত্বটা কে বেশ অসহ্য লাগে। মনে করে সে একদিকে আর জগতটা অন্য দিকে। তবুও এতো মানসিক কষ্টের মধ্যে ভেসে আশা গানটা মনটাকে ভরিয়ে দিচ্ছিল, যেমন করে বৈশাখ মাসে বৃষ্টির আগে বিদ্যুৎ ঝলকে উঠে ভরিয়ে দেয় গোটা আকাশটাকে, ঠিক তেমন করে। কিন্তু বৃষ্টি নামতে দিল না সে, তার আগে নিজেকে সংযত করে নিলে। খুব কান্না পেল, মনে হল একছুটে চলে যায়, যে দিকে দু চোখ যায়, কিন্তু ঐ- বিধি বাম। যাক গে এতো সব ভাবতে ভাবতে অমলকিশোর টেবিল থেকে উঠে বিছানায় গেল, লাইট নিভিয়ে ঘুমোবার চেষ্টা করবে বলে। কিন্তু ঘুম এল না, বদলে চোখের কোনায় জল এল। মনে মনে নিজেকে ধিক্কার দিচ্ছিল, সত্যি তো কর্ম না করে সে ফলের আশা করে কি করে। মাঝে মাঝে মনে হয় তার সে কিসে বিশ্বাস করে- কর্মে না ভাগ্যে ? তবে যাতেই করুক না কেন দুটোর জন্যই টিকে থাকতে হবে। লড়াই তো করতেই হবে।
বাইরে বৃষ্টি নামল হঠাৎ। বৃষ্টির ছাট জানলা দিয়ে আসছিল বটে, কিন্তু অমলকিশোর জানলা বন্ধ করল না। কি রকম একটা উদাস লাগছিল তার। আর কিচ্ছু ভাবতে ভাল লাগছিল না তার। আসলে হঠাৎ হঠাৎ করে এই রকম হয় তার, কোনো ঠিক থাকে না। যখন মন ভারী হয়ে উঠে তখনই এই সব ভাবনা এসে ভীড় করে আরে, আর কান্নারা পাড়ি জমায় তাদের সাথে।
অমলকিশোর কাঁদছে......
অনেকক্ষণ যাওয়ার পর কান্নার স্রোত কিছুটা কমলে, আবার ভাবতে চেষ্টা করলো সে। এখন অনেকটা ভাল লাগছে। তার সাথে বাইরে থেকে জানলা দিয়ে হাওয়াও আসছে, আগের মতো আর গরম লাগছে না। বৃষ্টির তেজটাও কমেছে। অমলকিশোরের মনে হল, ধুর কি হবে ভেবে। যা হবার হবে, খুব বেশি হলে সে কিছু হারাবে, নিঃস্ব হয়ে তো আর যাবে না। আর যদি হয়েও যায়, তখন ওই গরিব মানুষগুলোর মতো হয়ে যাবে, পেটের জ্বালায় তখন তো এই সমস্যা গুলো আর থাকবে না। ধুর ধুর যা হবে হবে।
হঠাৎ মোবাইলটা টং করে বেজে উঠলো। কোনো মেইল এসেছে বা অন্য কোনো নোটীফিকেশন ঢুকলো বোধহয়। খুব একটা ইচ্ছে না থাকেলেও সে সেটা হাতে নিল, অবশ্য অন্য কেউ হলে নিত না। কারণ মোবাইল গুলো একেকটা প্যান্ডোরার বাক্স। খুললেই সমস্যা শুরু। তবুও অমলকান্তি খুলল। কি একটা ফালতু মেইল, ওই you have an offer গোছের। কিন্তু তারপরেরটা ...... মেইলটা দেখে লাফিয়ে ওঠে আর কি সে। আরে এতো সেই 'লেখনী' তে যে কবিতাটা পাঠিয়ে ছিল, সেটা গৃহীত হয়েছে বলে লেখা আছে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট খুশি গুলো তার অনেক বড় কিছু সমস্যাকে হার মানায়। এক মুহূর্তে তার মনে হল এ জগতে সেই সবচাইতে খুশি মানুষ এখন। মোবাইলটা পাশে রেখে আনন্দে চোখ বুঝল সে। আবার নতুন করে সব কিছু শুরু করবে সে, কাল সকালে উঠে নতুন করে শুরু করবে জীবন। জীবন যে রকম সে রকম সে ভাবছে কেন, যে রকম হতে পারে সেটা ভাবা উচিত।
চোখ খুললো আর একবার, ঘুমোবার আগে একবার দেখে নিতে চাইল চারপাশটা। দেখল বৃষ্টি থেমে গেছে। সেই গুমোট ভাবটা আর নেই। আর হ্যাঁ, মেঘ সরে গেছে, আকাশ জুড়ে তারা ভরে আছে।
ঋণস্বীকার - মাল্যবান , জীবনানন্দ দাশ
No comments:
Post a Comment